নিজেস্ব প্রতিবেদক
আশিকুর রহমান হৃদয়ের মিথ্যা, বানোয়াট ও সাজানো মামলা থেকে খালাস পেলেন সাংবাদিক শাহাদাত হোসেন হিরু। সে নাগরিক টেলিভিশনের শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি হিসাবে কর্মরত রয়েছেন। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে শরীয়তপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের বিচারক লাভলী শীল তাকে এক বছর ৫ মাস আগের একটি মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। দীর্ঘ সময় সিআইডি ফরেনসিক ফাইনাল প্রতিবেদন শেষে ২০২৩ সালের ভেদরগঞ্জ থানার জিআর ৬৫/২৩ একটি পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেন আদালত। তবে ফের রিভিউ মামলা করেন কিন্তু বিজ্ঞ আদালতের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গত ১৮ মে ২০২৫ তারিখে রিভিশন মামলাটি খারিজ করে দেন। ফের মামলা থেকে আসামীদের খালাস প্রদান করেন।
জানা যায়, বছরখানেক আগে পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার দারুল আমান ইউনিয়নের নান্দ্রা গ্রামের বাসিন্দা ও যাত্রাবাড়ী থানার ৪৯ নং ওয়ার্ড নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি, আশিকুর রহমান রিদয়। রিভিশন মামলা নং ৩২/২০২৫।মামলার নথি থেকে জানা যায়, ০৯ নভেম্বর ২০২৩ সালে Rubel khan (shariatpur) নামে ফেসবুক আইডি থেকে আশিকুর রহমান রিদয়ের সাথে বিভিন্ন মেয়েদের ব্যক্তিগত অশ্লীল ছবি পোস্ট করা হয়। এরপর থেকে তাকে বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে তার অশ্লীল ছবি ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবী করে। অজ্ঞাতনামাকে টাকা না দিলে ২২ অক্টোবর ২০২৩ ভেদরগঞ্জ উপজেলা ভবনের সামনে ২নং বিবাদী – বাদীকে দাড় করিয়ে ফেইক আইডির বিষয় মিমাংসা করে দিবে বলে ৫ লাখ টাকা চাঁদা চায়। এরপর ২৭ অক্টোবর বিকালে Radwoan bin Kabir ফেসবুক আইডি থেকে বাদীর ব্যাক্তিগত বিভিন্ন মেয়েদের সাথে অশ্লীল ছবি পোষ্ট করা ও বিভিন্ন মানহানিকর লিখা লেখে। পরে ২৯ অক্টোবর ২০২৩ সালে পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ২০১২- ধারা ৮(২)/৮(৩)/৮(৭)তে ১/ রেদোয়ান বিন কবির ও ২/ শাহাদাত হোসেন হিরুকে বিবাদী করে ভেদরগঞ্জ থানায় মামলাটি রেকর্ড করে।
আদালতের রায়ের পর বিবাদী সাংবাদিক শাহাদাত হোসেন হিরুর পক্ষে আইনজীবী এডভোকেট কামরুল হাসান শাহালম বলেন,তাদের বিরুদ্ধে যে মামলাটি করেছেন বাদী সেটি ২৪ ফেব্রুয়ারী বিজ্ঞ আদালত মামলাটি খারিছ করে দিছেন। আসলে বাদী আশিকুর রহমান রিদয় মামলাটি দিয়ে তাদেরকে হয়রানির করাই ছিল প্রধান কাজ। তাই দীর্ঘ দেড় বছর পর সিআইডি ফরেনসিক প্রতিবেদন সহ স্বাক্ষ প্রমান না পাওয়ায় মহামান্য আদালত তাদের বেকসুর খালস করে মামলাটি নথিযাত করে দিয়েছেন। কিন্তু রিভিশন মামলা করে ও তেমন ফায়দা করতে পারেনি বাদি। মামলাটি আবারো মামলাটি বিজ্ঞ আদালত খারিজ করেন।